ঢাকা

The Date Here

প্রচ্ছদ

/

জাতীয়

মৃত মায়ের দান করা অঙ্গ চুরি, মর্গ ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ছেলের মামলা

অনলাইন ডেস্ক 1 year ago

বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার সুবিধার্থে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে (এইচএমএস) অনেকে মরণোত্তর দেহ দান করে থাকেন। তেমনই একজন এডেলে মাজ্জোনে। গতকাল শুক্রবার ওই নারীর সন্তান জন বোজেক ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্গের সাবেক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে একটি ক্লাস-অ্যাকশন মামলা করেছেন। ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দান করা অঙ্গ চুরি করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে সাফোক কাউন্টির সুপেরিওর আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। মরণোত্তর দেহ দান করা চার শ মানুষের পরিবারকে এ মামলায় ভুক্তভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।  ক্লাস-অ্যাকশন মামলা হলো কোনো ঘটনায় একই রকমের ভুক্তভোগী হওয়া অনেক মানুষের পক্ষ থেকে করা মামলা।

গতকালের মামলাটি হওয়ার আগে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় একটি গ্র্যান্ড জুরি সাবেক মর্গ ব্যবস্থাপক চেড্রিক লজ এবং আরও চারজনকে অভিযুক্ত করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মানুষের দান করা অঙ্গগুলো তাঁরা অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তখন ‘ষড়যন্ত্র এবং চুরি করা জিনিসগুলো এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের’ অভিযোগ আনা হয়।

তবে গতকাল করা মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত ক্ষতিসাধন, দায়িত্ব পালন না করা এবং আবেগ-অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
নতুন মামলায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে আইনি লড়াই চালাচ্ছে কেচেস ল গ্রুপ।

প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী জেফ কাতালানো বলেন, হার্ভার্ডের মতো মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত যথাযথ ও সম্মানজনকভাবে দান করা অঙ্গগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্দেশ্যে এগুলোর ব্যবহার করা। সে দায়িত্ব পালন না করার কারণে পরিবারগুলোর আবেগ-অনুভূতিতে যে আঘাত পড়েছে, এর জন্য তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

অভিযোগে বলা হয়, ৫৫ বছর বয়সী লজ এবং তাঁর স্ত্রী ডেনিসে লজ মরদেহের মাথা, চামড়া, মস্তিষ্ক ও হাড়গোড় সংগ্রহ করে মামলার তালিকায় থাকা অন্য আসামিদের কাছে বিক্রি করতেন। তাঁরা (মামলায় নাম থাকা অন্য আসামিরা) সেগুলো কিনে আবার অন্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেন।

হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ৬ মে তারা লজকে বরখাস্ত করেছে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডিন জর্জ পালি এবং এডওয়ার্ড হান্ডার্ট প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেওয়া পোস্টে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘নৈতিকভাবে অমার্জনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।

অভিযোগ আছে, কিছুসংখ্যক সম্ভাব্য গ্রাহককে লজ মর্গে ডাকতেন এবং তাঁরা যে অঙ্গগুলো কিনতে চান, সেগুলো বেছে নিতে বলতেন। বাকি অঙ্গগুলো তিনি তাঁর সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে যেতেন এবং ডাকযোগে তা গ্রাহকের কাছে পাঠাতেন।

মেডিকেল স্কুলের জন্য দান করা দেহগুলো শুধু গবেষণা ও শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। কাজ শেষে দেহাবশেষগুলোর সৎকার করা হয়, নয়তো সমাহিত করার জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অনলাইন ডেস্ক