তাড়াশে মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল বিক্রি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মেয়াদ উত্তীর্ণ ( মিক্সার) কেমিক্যাল বিক্রি অপরাধে জাহাঙ্গীর ইলেকট্রনিক্স এর সত্যাধিকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে শনিবার  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ  অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেছেন তাড়াশ পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার মোঃ আব্দুল মুমিনের ছেলে মোহাম্মদ মারুফ হোসেন। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ পৌর শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন জাহাঙ্গীর ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার পাশাপাশি (মিক্সার) কেমিক্যাল ও রঙের ব্যবসা রয়েছে। থানাপাড়ার বিশিষ্ট ফল ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল মমিন নতুন বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেন। বিল্ডিং এর কলামের ভিত মজবুত করার জন্য মিক্সার কেমিক্যাল সিমেন্ট বালুর সাথে মিশিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক জাহাঙ্গীর ইলেকট্রনিক্সের নিকট থেকে ১০ লিটারের চারটি বালতি মোট ৪০ লিটার দুবাই ম্যাক্স পাওয়ার (মিক্সার)  কেমিক্যাল ক্রয় করেন। কাজ শেষে তার সন্দেহ হলে কেমিক্যাল এর বালতির গায়ে নকল স্টিকার দেখতে পান। যেখানে কেমিক্যাল এর উৎপাদন তারিখ ১০,০৬,২৩ ইং এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ১০,০৫,২৫ ইং লেখা ছিল। নকল স্টিকার টি উঠানো হলে কোম্পানির আসল স্টিকার বেরিয়ে আসে। যাতে দেখা যায় কেমিক্যালের উৎপাদন তারিখ ০২,০৮,২১ ইং এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ০৩,০৮,২৩ লেখা। বিষয়টি জাহাঙ্গীরকে জানালে তিনি সমাধানের জন্য এক সপ্তাহের সময় চান। এক সপ্তাহ পর তার নিকট সমাধান চাইতে গেলে তিনি কোন (মিক্সার) কেমিক্যাল বিক্রির কথা প্রথমে স্বীকার করলেও পরে তা অস্বীকার করেন। তিনি আরোও বলেন, ২০২১ সাল থেকে আমি কোন কেমিক্যাল ব্যবসা করিনা শুধু রংয়ের ব্যবসা করি। কেমিক্যাল বিক্রির কথা অস্বীকার করার পর  তার দোকান থেকে কেমিক্যাল এর সকল বালতিগুলো গভীর রাতে ভ্যানযোগ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। যার সচিত্র ভিডিও ও অন্যান্য প্রমাণাদি রয়েছে। তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তাকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী মারুফ হোসেন তার এ প্রতারণার বিচার চেয়ে জাহাঙ্গীর ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি ২০২১ সালের পর থেকে কেমিক্যাল এর ব্যবসা করেন না তিনি শুধু রঙ্গের ব্যবসা করেন। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।